শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নাফনদীর মোহনায় স্পিডবোট ডুবি : ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশু জীবিত উদ্ধার হলে বাঁচানো যায়নি, সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ শিশুটিও

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পূর্বপাড়ার নুরুল কবিরের মেয়ে মারিয়া (৪) ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত ছিল। যাকে চিকিৎসার প্রয়োজনে সোমবার টেকনাফ আনতে উঠেছিল স্পিডবোট যাত্রা দিয়ে ছিলেন পিতা। কিন্তু স্পিড বোটটি উল্টে যায়। যেখানে উদ্ধার হওয়া ১০ যাত্রীর পর মূমুর্ষ মারিয়াও ছিল। কিন্ত শেষ পর্যন্ত মারিয়াকে বাঁচানো যায়নি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় নিখোঁজ স্মৃতি নূর আলিশা (৮) কেও পাওয়া যায়নি।

এছাড়া নিখোঁজ থাকা শিশু স্মৃতি নূর আলিশা (৮) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার মো. সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে।

মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আলিশা ও মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা শিশু মারিয়া দুইজনেই আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মারিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে টেকনাফ যাত্রা দিয়েছিল। যেখানে স্পিড বোট ডুবির ঘটনায় মুমুর্ষ উদ্ধার করা হয়। এরপর টেকনাফ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কক্সবাজার নেয়ার পথে সোমবার রাতে মারিয়া মারা গেছে। মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর তার জানাজা হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিখোঁজ আলিশাকেও পাওয়া যায়নি।

আলিশার দাদা মো. ইলিয়াস বলেন, আদরের আলিশার ফেরত পাওয়ার জন্য সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোথাও আলিশাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

টেকনাফ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাসাল্লি ফয়েজি বলেন, সোমবার স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় শিশু মারিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনদের কাছে কোন ধরনের টাকা-পয়সা না থাকায় তাদেরকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে মারা গেছে বলে শোনা গেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় টেকনাফে নাফ নদীর মোহনার গোলগলা পয়েন্টে স্পিড বোটটি উল্টে ডুবি যায়। এসময় স্থানীয় জেলেদের নৌকা ও একটি স্পিডবোট যোগে ভাসমান অবস্থায় ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোট চালক ও এক শিশু নিখোঁজ ছিল। বিকাল ৪ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিণ মিস্ত্রী পাড়া দিয়ে স্পিডবোট চালক মোহাম্মদ বেলাল সাঁতরে কূলে উঠে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু এখনো নিখোঁজ রয়েছে শিশু স্মৃতি নূর আলিশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888